📰 সম্পাদককে পত্র – সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার
বিষয়: সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার
মাননীয় সম্পাদক মহাশয় সমীপেষু –
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬, প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা – ৭০০০০১
সবিনয় নিবেদন,
আপনার সুপ্রসিদ্ধ দৈনিক পত্রিকায় “সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার” বিষয়ক নিম্নলিখিত মতামতটি প্রকাশ করে সুধী পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে কৃতজ্ঞ থাকব।
বর্তমান যুগে ইন্টারনেট-ভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মানুষের জীবনে বিপ্লব ঘটিয়েছে। কিন্তু এই প্রযুক্তি যেমন সুযোগের দ্বার খুলে দিয়েছে, তেমনি এর অশুভ ব্যবহারে সমাজে উদ্বেগজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ভারতে বর্তমানে প্রায় ৫০ কোটিরও বেশি সক্রিয় ব্যবহারকারী রয়েছেন, যাঁদের একটি বড় অংশ ভুল তথ্য ও বিভ্রান্তিকর কনটেন্টে প্রভাবিত হন।
সামাজিক মাধ্যমে মিথ্যা খবর, ঘৃণামূলক বার্তা ও চরিত্রহননের প্রবণতা ক্রমবর্ধমান। অনেক সময় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা, মানহানিকর পরিস্থিতি ও সহিংসতার সূচনা হয় একটি মাত্র পোস্ট থেকেই।
বিশেষ করে কিশোর-কিশোরীরা এই মাধ্যমে আসক্ত হয়ে পড়ছে, যার ফল ঘুমহীনতা, আত্মবিশ্বাসে ঘাটতি, মানসিক চাপ এমনকি আত্মহননের প্রবণতা পর্যন্ত বাড়াচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যম আসক্তিকে এক ধরনের ‘ডিজিটাল মানসিক ব্যাধি’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
২০২৪ সালের এক বিশ্ব প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতের একজন গড় ব্যবহারকারী দিনে তিন ঘণ্টারও বেশি সময় সামাজিক মাধ্যমে ব্যয় করেন — যার সিংহভাগ অপচয়মূলক এবং বিনোদনকেন্দ্রিক।
সরকার তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০০০ এবং মধ্যস্থতাকারী নির্দেশিকা ২০২১ চালু করেছে, কিন্তু আইন যথেষ্ট নয় — সচেতনতার বিকল্প নেই। বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়ে ডিজিটাল আচরণ শিক্ষাকে পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা, পারিবারিক পর্যবেক্ষণ বৃদ্ধি এবং সামাজিক দায়িত্ববোধ জাগ্রত করাই পারে এই সমস্যা রোধ করতে।
প্রযুক্তি শক্তি, তবে তা যেন নিয়ন্ত্রিত হয় বিবেক, নৈতিকতা ও জ্ঞানচর্চার মাধ্যমে — সেটাই আজকের সময়ের দাবি।
স্থান: ক
তারিখ: ২১.০৬.২০২৫
বিনীত,
খ